UNFPA, the UN sexual and reproductive health agency, is closely monitoring and working with partners, governments and UN agencies to address the outbreak of the new coronavirus disease (COVID-19), which has been declared a public health emergency of international concern by the World Health Organization (WHO).
UNFPA is working to ensure that accurate information is provided to women of reproductive age and pregnant women on infection precautions, potential risks and how to seek timely medical care.
[FULL STATEMENT IN ENGLISH]: https://www.unfpa.org/press/unfpa-statement-novel-coronavirus-covid-19-and-pregnancy
--
[BANGLA TRANSLATION OF STATEMENT]
করোনাভাইরাস (COVID-19) এবং গর্ভাবতী মায়েদের বিষয়ে ইউএনএফপিএর বিবৃতি
ইউএনএফপিএ (জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল), জাতিসংঘের একটি অঙ্গ সংস্থা যা যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে। এ সংস্থাটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) করোনা ভাইরাসকে একটি আন্তর্জাতিক জরুরী জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে ঘোষনা করেছে। করোনার প্রাদুর্ভাবের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ইউএনএফপিএ, সরকার এবং জাতিসংঘের অনান্য অংগ সংস্থাগুলির সাথে নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ এবং প্রতিকারের জন্যে কাজ করছে।
ইউএনএফপিএ, প্রজনন বয়সী যে কোন নারী এবং গর্ভবতীদের করোনা সংক্রমণ হতে সতর্কতা, সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং সময়োপযোগী চিকিৎসা সেবা নেওয়ার বিষয়ে সঠিক তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
ডাঃ নাটালিয়া কানেম, ইউএনএফপিএর নির্বাহী পরিচালক বলেন, "যদিও স্বাভাবিকভাবেই করোনভাইরাসটির প্রতি ভয় এবং অনিশ্চয়তা রয়েছে, তবুও আমাদের অবশ্যই সঠিক তথ্য-উপাত্ত দিয়ে এ বিষয়টির মোকাবেলা করতে হবে।” তিনি আরও বলেন "আমাদের অবশ্যই একাত্মভাবে যে কোন কুসস্কার ও বৈষম্য দূর করতে হবে, এবং জনগণ তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং সেবা, বিশেষকরে গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারী নারীরা যেন তাদের সেবা পেতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।"
যে কোন মহামারীর সময় যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনা বিশেষ ঝুঁকির মধ্যে থাকে। একটি সক্রিয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও যথাযথ ভাবে সংক্রমণ প্রতিরোধ সতর্কতা মেনে চলার উপর নিরাপদ গর্ভবস্থা এবং প্রসবকালীন স্বাস্থ্য নির্ভর করে।
যেহেতু COVID-19 প্রাদুর্ভাব গর্ভবতী নারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে, তাই ইউএনএফপিএ এই মায়েদের ঝুঁকিগুলির ক্ষেত্রে কিছু সীমিত প্রমানসহ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং প্রস্তাবিত সহায়ক চিকিৎসার বিষয়ে সুপারিশ করছে।
গর্ভবতী মহিলাদের COVID-19-তে আক্রান্ত হওয়ার সশ্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় এ বিষয়ে কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে গর্ভাবস্থায় নারীদের বেশকিছু শারীরিক পরিবর্তন হয় যার ফলে গর্ভবতী নারীর শ্বাস প্রশ্বাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা থাকে। তাই এই প্রতিকূল আবস্থা থেকে ঝুঁকিমুক্ত রাখার জন্যে গর্ভবতী নারীদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হলে তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের সাথে চিকিৎসা করা উচিত।
অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্কদের মতই গর্ভবতী নারীদের জন্যেও সংক্রমন এড়াতে একই প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, যেমন যদি হাঁচি-কাশি হয় এমন কারও সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়ানো, বার বার সাবান এবং পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া, হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় মুখ এবং নাককে টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখা বা কনুই ব্যাবহার করা এবং মাছ, মাংস এবং ডিম ইত্যাদি পুরোপুরি সিদ্ধ করে রান্না করে খাওয়া। এ সকল তথ্যসমূহ ডব্লিউএইচও ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে (WHO website)।
এই মুহূর্তে, ভাইরাস প্রতিরোধ বা নিরাময়ের জন্য এখন অবধি কোন ভ্যাকসিন বা চিকিৎসা পদ্ধতি নেই তবে লক্ষণগুলো দেখা গেলে কিছু চিকিৎসা সেবা প্রস্তাব করা হচ্ছে। সন্দেহজনক বা নিশ্চিত COVID-19-তে সংক্রমণযুক্ত গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসা তাদের প্রসুতী ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শক্রমে প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের জন্য ডব্লিউএইচও এর দ্বারা প্রস্তাবিত সহায়ক থেরাপি‘র মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা।
ইউনিসেফের মতে, যেহেতু মায়ের দুধের মাধ্যমে শ্বাসকষ্টের ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে এরকম কোনও প্রমান নেই, তাই স্তন্যপান করানো মায়েদেরকে তাদের নবজাতকের থেকে পৃথক করা উচিত নয়। মায়েরা নিম্ন উল্লেখিত সতর্কতা অবলম্বন করে যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ স্তন্যদান করানো চালিয়ে যেতে পারেন:
- পর্যাপ্ত লক্ষণীয় সম্বলিত মায়েদের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য একটি মাস্ক পরানো উচিত যখন কোন সন্তান কাছে থাকে (খাওয়ানোর সময় সহ) শিশুর সংস্পর্শে আসার পূর্বে এবং পরে (খাওয়ানো সহ) হাত ধোয়া উচিত এবং পরিষ্কার / জীবাণুমুক্ত করা উচিত।
-
কোনও মা যদি বুকের দুধ পান করানোর ক্ষেত্রে খুব অসুস্থ হন তবে তাকে একটি পরিষ্কার কাপ এবং / বা চামচ দিয়ে শিশুকে দেওয়া যেতে পারে এমন দুধ প্রকাশ করতে উৎসাহিত করা উচিত – মুখোশ পরা অবস্থায়, শিশুর সংস্পর্শে আসার পূর্বে এবং পরে (খাওয়ানো সহ) হাত ধোয়া উচিত এবং স্তনের উপরিভাগ ও চারিপাশ পরিষ্কার / জীবাণুমুক্ত করা।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি, পরিবার, সম্প্রদায় এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য এবং মনো-সামাজিক সহায়তা প্রদান, করোনা মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংগ।
ইউএনএফপিএ ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায় বিশেষত সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ নারী ও মেয়েদের সাথে রয়েছে যাদের সুরক্ষা
এবং স্বাস্থ্যগত চাহিদা মেটানোই আমাদের কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য । এই ধরনের মহামারী মোকাবিলায় আমরা বিশ্বজুড়ে আমাদের কর্মীদের সাথে অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতি এবং সেইসাথে অংশীদারদের, সরকার এবং কমিউনিটিকে সমৃক্ত করে একসাথে কাজ করছি।
--